প্রধানমন্ত্রী পদে ১০ বছরের বেশি নয়, একমত সব দল
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
২৭-০৭-২০২৫ ০৭:০৬:১০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৭-০৭-২০২৫ ০৮:২১:২৪ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ইস্যুতে অবশেষে ঐকমত্যে পৌঁছেছে রাজনৈতিক দলগুলো। এক ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের প্রস্তাবেও সম্মতি জানিয়েছে তারা।
রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের এই কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে আমরা একমত হয়েছি, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এটি আমরা চূড়ান্ত সনদে উল্লেখ করব।
বিষয়টি নিয়ে পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা আগেই বলেছি ১০ বছরের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না। তবে আমরা বলেছিলাম, নিয়োগ-সংক্রান্ত বিষয়ে যদি কোনো অতিরিক্ত ক্ষমতা সংবিধানে যোগ করা হয় তাহলে আমরা মানব না। নির্বাচনী কমিশন নিয়োগ নিয়ে যা আলোচনার বিষয় তা সনদভুক্ত করা হবে। এর বাইরে কিছু হলে আমাদের আগের শর্ত বহাল থাকবে।
এর আগে আলোচনার শুরুতে ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব তুলে ধরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলো এতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়, তবে কমিশন গঠনের আইনি কাঠামো ও পদ্ধতি নিয়ে আরও আলোচনা হবে বলে জানানো হয়।
আলী রীয়াজ বলেন, পুলিশ কমিশন গঠন নিয়ে দলগুলো একমত হয়েছে। এটি পুলিশের জবাবদিহিতা ও জনবান্ধবতা নিশ্চিত করবে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, ‘বাংলাদেশ পুলিশ কমিশন’ নামে গঠিতব্য এই প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্বে থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত আপিল বিভাগের বিচারপতি (বয়সসীমা ৭২ বছর)।সদস্যসচিব হবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি (বয়সসীমা ৬২ বছর)।
কমিশনে সরকার ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি থাকবেন:
সংসদে সরকার ও বিরোধীদলীয় নেতা
স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দল থেকে)
হাইকোর্ট বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একজন সিনিয়র আইনজীবী (অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা)
একজন মানবাধিকার কর্মী (কমপক্ষে ১০ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা)
একজন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা
কমিশনের অন্তত দুজন সদস্য নারী হতে হবে। কিছু সদস্য বাছাইয়ে গঠন হবে একটি বাছাই কমিটি, যেখানে থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান এবং একজন অভিজ্ঞ হাইকোর্ট বিচারক।
চেয়ারপারসন ও সদস্যসচিব পূর্ণকালীন দায়িত্বে থাকবেন, বাকি সাতজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যুক্ত থাকলেও বৈঠকে উপস্থিতি বা দাপ্তরিক কার্যাবলিতে সম্মানী নিতে পারবেন।
কমিশনের কার্যক্রম, দায়িত্ব, সদস্যদের অপসারণ প্রক্রিয়া এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণসংক্রান্ত পদ্ধতি নির্ধারিত হবে একটি পৃথক আইনের মাধ্যমে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতকে ভিত্তি ধরেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এইচএইচ/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স